সরকার জনগণকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়: মির্জা ফখরুল
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
আজ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। আজকের কর্মসূচিতে আমরা খবর পাচ্ছি পুলিশ বাধা প্রদান করছে। কর্মসূচি করতে দেবে না। আমাদের যে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোর পরিসরকে তারা আবার সংকুচিত করছে। এভাবেই তারা জনগণকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আন্দোলনকে আরো কীভাবে বেগবান করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনার তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণভাবে লক্ষ্য করেছেন- আমরা কিন্তু প্রথম থেকেই অত্যন্ত গণতান্ত্রিক উপায়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আসছি। এই আন্দোলন আরো চলবে, আগামী দিনে আরো বেগবান হবে। সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি চায় সংঘাত এড়িয়ে তারা সামনের দিকে যাবে। এটা পুরোটাই সরকারের ওপর নির্ভর করে। প্রথমে তাদের (সরকারকে) বিরোধী দলের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ পদত্যাগ করে আলোচনায় বসতে হবে।
বৈঠকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাদের মধ্যে এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমীন ব্যপারী, গণ দলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএলএর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ব্যারিস্টার নাসিম খান, বাংলাদেশ পিপলস লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীব নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

