হিযবুত তাহরীর’র পলাতক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মাহামুদ হাসান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর এর শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বশীল সদস্য। তার নেতৃত্বে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদের সামনে ‘হিযবুত তাহরীর’ এর সদস্যদের নিয়ে ঝটিকা মিছিল করে থাকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং করে ‘হিযবুত তাহরীর’লিফলেট এবং পোষ্টার বিতরণের মাধ্যমে সরকার এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম করে থাকে।সিনিয়র এএসপি ফজলুল হক জানায়, এজাহার নামীয় ও চার্জশীটভুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে পলাতক থেকে দীর্ঘ দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলে এবং জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। মাহামুদ হাসানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও পল্টন থানায় সর্বমোট ৩ টি মামলা রয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় আদালতের রায়ে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড হয়। রায় ঘোষনার সময় সে পলাতক ছিল।
গ্রেপ্তার আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সে রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি এবং ২০১১ সালে এইচএসসি ও একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে। সে ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক এর মাধ্যমে “হিযবুত তাহরীর” সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়। সে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গীবাদী বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিল।
গ্রেপ্তার আসামীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে বলেও জানান র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফজলুল হক।

