ভারতে আবারও শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের, এবার টার্গেটে কৃষিপণ্য
ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রশাসন আমেরিকান কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ করবে, যার অর্থায়ন হবে বাণিজ্য অংশীদারদের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্ক রাজস্ব সংগ্রহ করছে তা থেকে। তিনি দাবি করেন, ‘আমরা আসলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার নিচ্ছি, যদি আপনি একটু ভেবে দেখেন’ এবং যোগ করেন, অন্যান্য দেশ ‘এমনভাবে আমাদের সুযোগ নিয়েছে, যা আগে কেউ দেখেনি।’
তিনি কৃষকদের অপরিহার্য জাতীয় সম্পদ, আমেরিকার মেরুদণ্ডের অংশ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, মার্কিন কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুল্কের সুবিধা কাজে লাগানো তাঁর কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বারবার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং হতাশাজনক পণ্যমূল্যের ফলেই খামার অর্থনীতিতে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
চাল আমদানির ওপর এক দীর্ঘ আলোচনার সময় ভারত বিশেষভাবে একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে। এই বিষয়টিকে লুইজিয়ানার এক উৎপাদক দক্ষিণ অঞ্চলের চাষিদের জন্য ধ্বংসাত্মক বলে বর্ণনা করেন। যখন ট্রাম্পকে জানানো হয়, ভারতীয় সংস্থাগুলো মার্কিন খুচরা চালের বাজারে সবচেয়ে বড় দুটি ব্র্যান্ডের মালিক, তখন তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে, এবং আমরা এটির যত্ন নেব। এটা দারুণ।
এটা খুবই সহজ… শুল্ক, আবারও, দুই মিনিটের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাদের ডাম্পিং করা উচিত নয়… মানে, আমি এটা শুনেছি, আমি অন্যদের কাছ থেকে এটা শুনেছি। আপনারা এটা করতে পারবেন না।’ তিনি স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কানাডা থেকে আসা সারের ওপরও সম্ভাব্য শুল্ক ব্যবস্থার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘এর অনেকটাই কানাডা থেকে আসে, এবং তাই আমাদের যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা সেটির উপর খুব কঠোর শুল্ক আরোপ করব। কারণ, এটিই সেই উপায়, যার মাধ্যমে আপনি এখানে জোরদার করতে চান।’
গত এক দশকে ভারত-মার্কিন কৃষি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ভারত বাসমতি, অন্যান্য চাল পণ্য, মসলা এবং সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাদাম, তুলা এবং ডাল আমদানি করে। তবে ভর্তুকি, বাজার প্রবেশাধিকার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অভিযোগ বিশেষ করে চাল ও চিনি সংক্রান্ত বিরোধগুলো পর্যায়ক্রমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় চাপ সৃষ্টি করেছে।
সূত্র: এনডিটিভি


