‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জনের দাবি

মানববন্ধনের একটি দৃশ্য
২৪-এর জুলাই আন্দোলনে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যার সমর্থনে ২ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গনে ও ৩ আগস্ট বিএফডিসিতে উল্লাসকারী, ইন্ধনদাতা শিল্পী-কলাকুশলীদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বর্জন তালিকা ভুক্ত করার দাবিতে’ জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানববন্ধন ও চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করেন তারা।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সিনেমার মেগাস্টার ও বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, নির্মাতা বদিউল আলম খোকন, অভিনেতা মারুফ আকিব, আবির চৌধুরী, জেবাসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের হুশিয়ারি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় এসব শিল্পী-কলাকুশলী ও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পী-কলাকুশলীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন তালিকা ভুক্ত করার দাবি জানান৷
বলা দরকার, কোটা সংস্কার আন্দোলনের দেশের শিল্পীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। একদল ছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষে। আরেকদল ফ্যাসিস্ট সরকারের। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে নায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ, অরুণা বিশ্বাস, তানভীন সুইটি, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী আরাফাতের সমন্বয়ে দুই শতাধিক সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক নিয়ে একটি গ্রুপ খোলা হয়। যার নাম রাখা হয় ‘আলো আসবেই’। গ্রুপের সদস্যরা আন্দোলনের বিপক্ষে সরব ছিলেন। আন্দোলনকারী ও আন্দোলনের পক্ষে থাকা নির্মাতা ও শিল্পীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিলেন তারা।

