জেলা প্রশাসকসহ ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট গোলাপগঞ্জের ঘোষগাঁও গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একই পরিবারের এক নারীসহ চারজনকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা দেন সহকারী কিমিশনার (ভূমি) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ।
পরদিন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল (আপিল মামলা নং- ০৪/২০২৫) করেন।
এ ঘটনায় নালিশা ভূমির মালিক রিয়াদ আহমদ চৌধুরী ৩ সেপ্টেম্বর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এসি ল্যান্ডসহ পাঁচজনকে বিবাদী করে নিষেধাজ্ঞার মামলা (নম্বর ১০৩/২০২৫) দায়ের করেন। আদালত বিবাদীদের ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের রায়ের নথি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল গোলাপগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নালিশা ভূমি নিয়ে করা স্বত্ব মামলায় (নম্বর ১৪৭/২০২১) বাদী রিয়াদ আহমদ চৌধুরীর পক্ষে রায় দেন।
ওই জমির ওপর রিয়াদ চৌধুরী ২০২৩ সালের ৮ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে চেরাগ আলী ও তার ভাইদের আমমোক্তারনামা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত পরিবার দাবি করেছে, আদালতের ডিক্রির ভিত্তিতে তারা বৈধভাবে জমি ভোগদখলে ছিলেন, কিন্তু এসিল্যান্ড ও স্থানীয় তহসিলদার নজরুল ইসলাম তাদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসি ল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ জানান, ‘আদালত থেকে কোনো নোটিশ আমি পাইনি। শোকজের বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আদালত থেকে নোটিশ এলে অবশ্যই আমি সাড়া দেব।’
বাদী রিয়াদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও সরকারি কর্মকর্তারা বেআইনিভাবে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে আমাদের পরিবারের চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করলে আদালত পাঁচ কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন।’


