হাসিনার পতন আগে থেকেই টের পেয়েছিল চীন?

প্রান্তডেস্ক:শেখ হাসিনার সরকারের পতনের কথা চীন আগেই জানতো—এমনটাই বলছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা দাবি করছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চীন বেশ অনড় অবস্থান নিয়েছে এবং বেশিরভাগ সময় নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর, একাধিক দেশ তাদের অভিনন্দন জানালেও চীন ছিল তাদের মধ্যে প্রথম। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের অভিনন্দন বার্তা, নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর বিকালেই ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত গণভবনে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীন সম্ভবত সরকারের ভঙ্গুরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সম্পর্কে পূর্বাভাস পেয়েছিল। এর কারণেই, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর চীন সফরে গিয়ে বড় কোনো ঋণ চুক্তি কিংবা পরিকাঠামো খাতে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করতে দেখা যায়নি। এমনকি, নির্ধারিত সফরের শেষের আগেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন।চীনের এই স্থিতিশীল এবং নিরপেক্ষ অবস্থান অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।