পাঠ্যবইয়ে থাকছে না শেখ হাসিনার ছবি, যুক্ত হচ্ছে গ্রাফিতি
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে বছরের মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ শেষ করে ছাপার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা জানান, পরিমার্জনের মাধ্যমে বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার প্রতিফলন থাকছে। তবে যেহেতু এই অভ্যুত্থানের বিষয়টি অতি নিকট ইতিহাস এবং এবার সময়ও কম, তাই লেখা হিসেবে না রেখে কিছু পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি ইত্যাদি বিষয় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনায় আছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভালো মানসম্মত লেখা পেলে যুক্ত করা হবে। সে জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। তবে অভ্যুত্থানের কিছু অংকন বিভিন্ন বইয়ে স্থান পেয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু বই ছাপানোর কাজ পেয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। তবে এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তাদেরকে বাদ দিয়ে দেশি মুদ্রণখানাগুলোকে বই ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বই ছাপার কাজে ১৮টি স্লটে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ছিল। সেগুলো বাতিল হয়েছে। তাদেরকে বাতিল করার পরে পুনরায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি (টেন্ডার) দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সব দেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে।
জানা গেছে, দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।