কাদিয়ানিদের ওপর হামলা নিয়ে কাদের-ফখরুলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
এক দিকে ওবায়দুল কাদের বলছেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় তারা জড়িত। অন্য দিকে মির্জা ফখরুল বলছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে উন্মত্ত বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী পন্থায় সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড়ে সংঘটিত কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় তারা জড়িত।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেছেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে, পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি অনেক বেশি ক্ষুণ্ন হয়েছে। পঞ্চগড়ের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে পূর্বপরিকল্পিতভাবে। দেশে এখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ আন্দোলন যখন পুরোপুরিভাবে বিস্ফোরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সরকার পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। তা না হলে ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে বলে ফেললেন, এটা বিএনপির কাজ?
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের (বিএনপির) দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও আইডি থেকে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা কাজে লাগিয়ে সরকার বিএনপি নিধনে নেমেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার গোয়েন্দা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে যত রকম অপপ্রচার চালানো যায়, তা করে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিডিয়ার কয়েকটি সংস্থাও এমন অপপ্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।