বিদেশে উচ্চশিক্ষার টাকা হুন্ডিতে যাচ্ছে
প্রান্তডেস্ক:দেশের আলোচিত ইস্যুগুলোর একটি রিজার্ভ সঙ্কট। আলোচনায় রয়েছে দেশ থেকে টাকা পাচার এবং বিদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর বিষয়টি। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে হুন্ডির নামও। বলা হচ্ছে, মূলত হুন্ডির মাধ্যমেই বিদেশ থেকে টাকা আসছে। আবার দেশ থেকেও বিদেশে টাকা যাচ্ছে অবৈধ এই পথেই।
জানা গেছে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র টাকাও যাচ্ছে হুন্ডিতেই। যদিও এর প্রধান কারণ হিসেবে সামনে দাঁড় করানো হচ্ছে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। বলা হচ্ছে— প্রায় তিন মাস আগে স্টুডেন্ট ফাইল খোলা বন্ধ করে দেয় দেশীয় ব্যাংকগুলো। এতে বিপদে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। বিদেশে উচ্চশিক্ষারত সন্তানের টিউশন ফি এবং আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা পাঠাতে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে হুন্ডিকে। অভিভাবকদের দাবি— অনেকটা বাধ্য হয়েই এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছে তাদের।
বহ্নি আক্তার (ছদ্ম নাম) একজন অভিভাবক। গত বছরের মাঝামাঝিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তার ছেলে। সে সময় একটি বেসরকারি ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল খুলেছেন তিনি। এর মাধ্যমেই ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং অন্যান্য খরচ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে তারা আর ব্যাংকিং চ্যানেলে ছেলের কাছে পড়াশোনার খরচ পাঠাতে পারছেন না।
‘প্রতিমাসে ছেলের বাসা ভাড়া, যাতায়াত, খাবারের টাকা পাঠাতে হয়। ছয়মাসে একবার সেমিস্টার ফি দিতে হয়। আগে তো সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমরা এদিকে পড়েছি বিপদে, আর আমার ছেলে ওদিকে আছে বিপদে, বাধ্য হয়ে পরিবার হুন্ডিকে বেছে নিয়েছে।
‘তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে বাধ্য হয়ে তারা ছেলের কাছে মাসের খরচ পাঠাচ্ছেন হুন্ডি বা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে। ‘খরচ তো পাঠাতে হবে। এখন খরচ একটু বেশি হলেও হুন্ডি করে টাকা পাঠানো শুরু করেছি।’
কিন্তু তার মতো একই বিপদে রয়েছেন বাংলাদেশের আরও শতাধিক অভিভাবক। সন্তানের উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে বাধ্য হয়ে তারা সবাই অবৈধ বা হুন্ডির মতো ব্যবস্থার আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।