আজ বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস
প্রান্তডেস্ক:বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হল বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বময় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পেইন, যা প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়,বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।[১] এদিন বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ব্যানটিং জন্ম নিয়েছিলেন এবং তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রতিপাদ্য বিষয়
২০০৭ সালে সিদ্ধান্ত হয়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনার থিমটি আরও দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০০৭-২০০৮ সালের থিম নির্ধারিত ছিল ‘শিশু ও তরুণদের মধ্যে ডায়াবেটিস’। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের থিম নির্ধারিত হয়েছে, ‘ডায়াবেটিস শিক্ষা ও প্রতিরোধ’। ২০০৭-২০০৮ সালে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো-আরও বেশি শিশু ও তরুণকে এই পরিচর্যার আওতায় আনা। ডায়াবেটিসের জরুরি সংকেত সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এ রোগের একটি জটিলতা ‘ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস’ হ্রাস করার উদ্যোগ উৎসাহিত করা। আর শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা। এ দিবসের নীল বৃত্তের ‘লোগো’টি ডায়াবেটিসকে পরাভূত করার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সূচক। লক্ষ্য হলোঃ পৃথিবীতে কোনো শিশুই যেন ডায়াবেটিসে মারা না যায়। ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগ ব্যক্তি, পরিবার, দেশ, এমনকি সারা পৃথিবীর জন্য গুরুতর ঝুঁকি বহন করে-এমন সত্যটি জাতিসংঘ অনুধাবন করে ২০০৬ সালে একে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পৃথিবীতে ২৫০ মিলিয়ন লোক ডায়াবেটিস নিয়ে জীবন যাপন করছে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এবং এই অবস্থার প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্মিলিত ও ব্যক্তিগত পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে। ২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “প্রতিবন্ধকতা ভাঙা, ব্যবধান দূর করা”, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করার এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সকল মানুষের ন্যায়সঙ্গত, ব্যাপক, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসা ও যত্নের সুযোগ নিশ্চিত করার আমাদের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে।

