১৯৬১ সালের এই দিনে জীবনাবসান ঘটে সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের। তার জন্ম ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই আমেরিকার শিকাগোতে। তার বাবা পেশায় চিকিৎসক এবং মা সংগীতবিশারদ ছিলেন। শৈশবে তিনি তার মায়ের পীড়াপীড়িতে সেলো বাজানো শিখতে শুরু করেন এবং কিছুদিন পর এটি নিয়ে দুজনের মধ্যে সংঘাত বাধে। স্কুলে পড়াকালেই তিনি সাংবাদিকতার কোর্স পড়েছিলেন, যেখানে ক্লাসরুমের পরিবেশ ছিল সংবাদপত্র অফিসের মতো। এরপর তিনি শিক্ষানবিশ সংবাদদাতা হিসেবে দি আরকানসাস সিটি স্টার পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। ১৯১৮ সালে তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর জীবনে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। ১৯২০ সালে তিনি টরন্টো স্টার পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সার, স্টাফ রিপোর্টার ও বিদেশি সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। লেখার জগতে তার প্রবেশ ঘটে ১৯২৫ সালে ‘ইন আওয়ার টাইম’ নামে ছোটগল্পের বই লিখে। ১৯২৭ সালে তিনি তার প্রথম স্ত্রী হ্যাডলি রিচার্ডসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং চারটি বিয়ে করেন। এ বছরই প্রকাশিত হয় তার আরেকটি ছোটগল্পের সংকলন ‘ম্যান উইদাউট ওম্যান’। ১৯২৮ সালে তার বাবা ডায়াবেটিস ও আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ‘দ্য ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য সি’। ১৯৫৩ সালে তিনি পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। শেষ জীবনে তিনি কিউবায় বসবাস করেন। তখন তিনি বিষণœতায় ভুগছিলেন। ১৯৬১ সালের ২ জুলাই ভোরবেলায় নিজের প্রিয় শটগান নিজের মুখের ভেতর ঢুকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।