মামলার আসামি কানাডা প্রবাসী, জানে না বাদী কারা আসামি
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৮ বার পঠিত
প্রান্তডেস্ক:হত্যাকাণ্ডে ঘটনাস্থল ঢাকার যাত্রবাড়ি। পুলিশের গুলিতে নিহত শাহীন হাওলাদারের বাড়ি ভোলা দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে। গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে শাহীন মারা যায়। যাত্রাবাড়ি থানায় দায়েরকৃত মামলার একজন আসামি পটুয়াখালি জেলার বাউফল উপজেলার বাসিন্দা জুলাই মাস থেকে কানাডা প্রবাসী হাসিব তালুকদার। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত সামসুল আলম তালুকদারের বড় ছেলে। বাংলাদেশে অবস্থানকারী তার ছোটভাই আশিকুর রহমানও মামলার আসামি।
মামলার বাদী নিহত শাহীন হাওলাদারের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার। মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরও আছেন ওবায়দুল কাদেরসহ ৮৭ জনের নামে করা এবং অজ্ঞাত ২ হাজার জন। কানাডা প্রবাসী হাসিব তালুকদার ১৮ নম্বর ও তার ভাই ৪৬ নম্বর আসামি। নিহতের পিতা ভ্যানচালক আবদুল মাজেদ বলেন, শাহীনকে গুলি করে মেরে ফেলার পর ওর স্ত্রী আমাদের ছেড়ে আমার বড়ভাই সাদেকের ছেলে মহিউদ্দিনের বাসায় থাকছে। নাতি নাতনিদেরকেও আমাদের কাছে আসতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন ভেবে ছিলাম হত্যার দায়ে আমি মামলা করব। কিন্তু মহিউদ্দিন ফুসলিয়ে আমার ছেলের বউ স্বপ্নাকে দিয়ে মামলা করিয়েছে।
নিহত শাহীনের মা জবেদা বেগম বলেন শাহীনের মৃত্যুর পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে পুত্রবধূ স্বপ্নাকে ২ লাখ টাকা দিয়েছে। এরপর থেকে মহিউদ্দিন আর নিহত শাহীনের স্ত্রীকে আমাদের কাছে আসতে দেয় না। নিহত শাহীনের বড় চাচা সাদেক হাওলাদার বলেন শাহীনের স্ত্রী এতো মানুষকে আসামি করেনি। স্বপ্না বলেছেন এতো লোককে তো আমি আসামি করিনি। একজন উকিল এসে আমাকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে। মামলার আসামিদের বিষয় আমি কিছু জানিনা। এমনকি বাদীকে যাতে কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য বাদীর ভুল মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। স্বপ্না বলেন তিনি মামলায় চারজনকে আসামি করেছেন। কিন্তু একজন উকিল এসে ২ হাজার লোককে আসামি করেছে। এমনকি সেই উকিল নিজের নাম পর্যন্ত বলেনি। স্বপ্না বলেন আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। কিন্তু কোনো নির্দোষ মানুষকে ফাঁসানোর রাজনীতি চাইনা। কাদেরকে যে, আসামি করা হয়েছে তাও তিনি জানে না। উল্লেখ্য শাহীনকে ভোলার বাড়িতে এনে দাফন করা হয়েছে।