তিনি বলেন, ‘চটচটিয়া নদীর ১০০ ফুট দূরে অনিমেষের ১২০ শতক জমির একটি ঘের রয়েছে। এই ঘেরে জোয়ারের সময় পানি তোলা হয়। এ কারণে ওই পানির সঙ্গে জাটকা ঘেরে আসতে পারে। আর ওই ঘেরের পাশেই রয়েছে অনিমেষের পুকুর। সেখানে ৬-৭ ফুট পানি থাকে। ঘেরের পানি ওই পুকুরে মেশে। আবার বর্ষার সময় এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পানির সঙ্গে নদী থেকে জাটকা ঘের হয়ে পুকুরে আসতে পারে। আর ইলিশ গভীর পানির মাছ। হয়তো ছোট পোনা পানির সঙ্গে ঢুকে পড়ে বদ্ধ জায়গায় ৬-৭ ফুট পানিতে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সুখবর পাওয়ার আশা করতে পারি।’
অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। এর আগে আমরা কখনও পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই।
স্থানীয় প্রবীণ জেলে সুকুমার বলেন, ‘নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের সরাসরি কোনও সংযোগ নেই। মাঝে ঘের রয়েছে। ঘেরে নদী থেকে পানি তোলা হয়। আবার বর্ষায় পানিতে সব একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেলো।’
ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ হয়– বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।’স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয় না। অনিমেষের পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।’