ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
প্রান্তডেস্ক: ফরিদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম হত্যা মামলায় এক দশক পর পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকাল ৩টায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁশলী (এপিপি) সানোয়ার হোসেন জানান।
আসামিরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্লা (৩২), সুজা মোল্লা (৩৩), নজরুল মোল্লা (৫৫) এবং দুই সহোদর ফিরোজ মোল্লা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্লা (৩২)।
মামলার বরাতে আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকালে সহকারী শিক্ষক কামরুল (৩৮) বাড়ি থেকে সাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে চতুল চিতা ঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্লার দোকানের সামনে তাকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে যায় আসামিরা। এ সময় তার কাছে থাকা সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়।
কামরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় কামরুলের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার এসআই নিপুন মজুমদার ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আইনজীবী বলেন, আদালত পাঁচজনকে যাবজ্জীবন ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া বেআইনিভাবে বাধা দেওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় ওই এক মাসের দণ্ড আলাদাভাবে ভোগ করতে হবে না বলে জানান আইনজীবী। তিনি আরও জানান, আদালত এই মামলায় সাত আসামিকে খালাস দিয়েছেন।