আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসএমপি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পার্টনারশিপে একটি স্বেচ্ছাসেবী নিরাপত্তা টিম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এসএমপি’র সম্মেলনকক্ষে সিলেট-১ ও সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি। সভায় বিএনপি, জামায়াত, জমিয়ত, এনসিপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
এসময় সিলেটের পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এক টেবিলে বসাতে পারি। যেখানে আলোচনা হবে কেউ যেন কারও ব্যানার না ছিঁড়ে, কারও ফেস্টুনের ওপর আরেক ফেস্টুন না দেয়। নির্বাচনের আগে থেকেই আমরা চাচ্ছি সবাই মিলে শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পুলিশ ফোর্স দিয়ে একা সব প্রার্থীর নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে কয়েকজন করে স্বেচ্ছাসেবী যুবককে নির্ধারণ করে একটি ‘পুলিশ সহায়তা টিম’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এই টিমকে নির্বাচনী নিরাপত্তা ও আচরণবিধি বিষয়ে ব্রিফিং ও প্রশিক্ষণ দেবে এসএমপি। আমাদের পুলিশ থাকবে প্রথম স্তরে, আর দ্বিতীয় স্তরে থাকবে আপনাদের নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের আমরা শেখাব কিভাবে মাঠে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা এখন থেকেই মাঠে কাজ শুরু করেছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, নির্বাচনী আচরণবিধি পালন এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো প্রার্থী, দল বা ব্যক্তিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। এসএমপি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। জনগণ যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারেন, সেই দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘সিলেটের প্রার্থীরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই সভায় ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রচার-প্রচারণার শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্কতা নিয়েও আলোচনা করা হয়। এসময় এসএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন থানার ওসি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর এই উদ্যোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।


