আজ- মানবতা ও সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ “শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামীর” ৩২ তম প্রয়াণ দিবস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১:০৭ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫২ বার পঠিত
প্রান্তডেস্ক:শ্রী নিকুঞ্জ বিহরী গোস্বামী একটি নাম একটি ইতিহাস।’গোসাইজী’ নামে সর্বমহলে পরিচিত ছিলেন “শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী” । ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা বিস্তার, অসহায নারীদের স্বাবলম্বী করা, মফস্বল থেকে আসা ছাত্র- ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য আবাসন ব্যবস্থাকরা সহ নানাবিধ মানবিক কাজ করেগেছেন।গোসাইজী আমৃত্যু মানব হিতৈষী কাজে ছিলেন জড়িত। তিনি অধুনালুপ্ত “সাপ্তাহিক জনশক্তি প্রত্রিকার” সম্পাদক ছিলেন। উনার হাত দিয়ে সৃষ্টি হয়েছেন অনেক সাংবাদিক যারা আজ লব্ধ প্রতিষ্টিত।
শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক “গিয়াসউদ্দিন আউয়াল” রচিত “অগ্রন্থিত বিরচন” বইয়ের “সিলেট প্রসক্লাবঃ অতীত –বর্তমান প্রবন্ধে লিখেন ” “১৯৬৫ সালের ১৩ জুলাই অপরাহ্নে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তান সহকারী সংবাদ সম্পাদক সুলতান আলীর চৌহাট্টাস্থ অফিস কক্ষে প্রবীণ সাংবাদিক “নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামীর” সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রথম গঠন করা হয় বহু আকাঙ্ক্ষিত সিলেট জেলা প্রেসক্লাব”
অতএব ইতিহাস বলছে ” শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী” ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাব গঠনের উদ্যোক্তাদের অন্যতম একজন।
সর্বোপরি শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী মানবিকতার কারনে, শিক্ষা বিস্তারে, গরিব ছাত্র ছাত্রিদের পড়াশোনার জন্য থাকার ব্যবস্থা করা,অসহায় নারীদের প্রেসের কাজ শিখিয়ে স্বাবলম্বী করা। প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারে অসামান্য অবদান রাখেছেন।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারতের প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেখা করে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থনের জন্য আবেদন জানান।
শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট এক বর্ষনসিক্ত ভোরে তাঁর অসংখ্য গুনগ্রাহীকে কাঁদিয়ে পরলোকগমন করেন।
আমাদের দেশের অনেক জ্ঞানি গুনিজনকে সরকার, রাষ্ট্রীয় অনেক সম্মানে সম্মানিত করেছেন।
প্রয়াণ দিবসে সাপ্তাহিক ও অনলাইন দৈনিক”সিলেটপ্রান্ত” সরকারের কাছে আবেদন করছে সারাজীবন মানবকল্যাণে নিয়োজিত এই মহান ব্যক্তিত্বকে ” একুশে ” পদক বা “স্বাধীনতা’ পদক প্রদান করে সম্মানিত করতে ।

