মুক্তিযুদ্ধ এবং তাজউদ্দীন আহমদ

মযহারুল ইসলাম বাবলা:ইতিহাসে কারও অবদানকে ইচ্ছে করলেই ছোট করা যায় না। টেনে লম্বাও করা যায় না। ঐতিহাসিকভাবে যার যতটুকু অবদান, তা স্বীকার করতেই হবে। বিলম্বে হলেও ইতিহাসে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে। এটা ইতিহাসের বাস্তবতা। ভুল-মিথ্যা, সাজানো ইতিহাস কালক্রমে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপের দৃষ্টান্ত ইতিহাস জুড়ে রয়েছে। বিজয়ীরা উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যাচারের ইতিহাস রচনায় সত্যকে আড়াল করে নিজেদের গুণকীর্তনের ইতিহাস রচনায় তৎপর হয়; ইতিহাসের শিক্ষা না নিয়ে। কাল-যুগ অতিক্রমে প্রকৃত সত্য ইতিহাস জানা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয় না। আমাদের সময়কালে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ’। এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছিল না। ছিল সামষ্টিক, সমষ্টিগত মানুষের অংশগ্রহণ, ত্যাগ, আত্মদান আর বীরত্বে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয়। যারা প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রচার ও প্রচারণায়, কূটনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত থেকেছেন এবং যারা দেশের অভ্যন্তরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়-আহারসহ মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহায়তা করেছে। সবার সম্মিলিত অবদানে মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতি সম্ভব হয়েছিল। সমষ্টিই প্রধান। ব্যক্তি এক্ষেত্রে সমষ্টির অন্তর্গত। ব্যক্তির ভূমিকাকে তাই বলে গৌণ এবং তুচ্ছজ্ঞান করাও যাবে না। মুক্তিযুদ্ধে সফল নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। যার দক্ষ নেতৃত্বে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধে দলীয় সংকীর্ণতা পরিহার করে অসামান্য বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নানা ষড়যন্ত্র-আপসকামী বিড়ম্বনার মুখেও তিনি অবিচল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সফল করার অঙ্গীকারে। নিজ দলের চক্রান্ত্রকারী অংশকে সফলভাবে দমন করতে পেরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যদি ব্যক্তির প্রসঙ্গে বলতে হয়। তবে সেই ব্যক্তিটি অনিবার্যরূপে তাজউদ্দীন আহমদ। তার নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং তার অসামান্য নেতৃত্বে বিজয় অর্জনও সম্ভব হয়েছিল। তাজউদ্দীন আহমদই বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের মূল নেতৃত্বে আসীন ছিলেন এবং ইতিহাসেও তার নামটি সেখানেই থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণের নানা প্রচেষ্টা একমাত্র তাজউদ্দীন আহমদের কারণে সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারদের অধীনে সব ধরনের প্রশিক্ষণে বামপন্থিদের অংশগ্রহণ ছিল নিষিদ্ধ। স্থানীয় এমপি, এমএলএ-দের সুপারিশ ছাড়া কাউকে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হতো না। আওয়ামী লীগপন্থি ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে জন্য অধিক তৎপর ছিল আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীন-বিরোধী পক্ষ। সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ওই সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রচুর বামপন্থিদের ২ নম্বর সেক্টরে যুক্ত করেছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের বীরত্বপূর্ণ গৌরবগাথা কারও অজানা থাকার কথা নয়। একমাত্র তাজউদ্দীন আহমদ দলীয় সংকীর্ণতাকে পরিহার করে বামপন্থিদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন। সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ তাজউদ্দীনের নির্দেশনাই অনুসরণ করেছেন। তাজউদ্দীনের প্রতিপক্ষরা বামপন্থিদের মুক্তিযুদ্ধে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে প্রাণান্ত চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি; একমাত্র তাজউদ্দীন আহমদের কারণেই। অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্ব উপেক্ষা করে ভারত সরকারের সহায়তায় তাজউদ্দীন-বিরোধীরা গঠন করে বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স। যেটি মুজিব বাহিনী নামে খ্যাত। এই ‘মুজিব বাহিনী’ গঠনে ভারতীয় জেনারেল ওবান দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর নানা চক্রান্তে শেখ কামালকে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে আপস-সমঝোতার অপচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ বানচালে তৎপর ছিল আওয়ামী লীগের কট্টর দক্ষিণপন্থি অংশ। তাজউদ্দীন-বিরোধীদের মধ্যে খন্দকার মোশতাক, কুমিল্লার জহুরুল কাইয়ুম, শেখ ফজলুল হক মনি প্রমুখ ছিলেন অগ্রভাগে। অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান-বিচক্ষণ এবং অসাধারণ তাজউদ্দীন শক্ত হাতে সফলভাবে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছিলেন। খন্দকার মোশতাককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে দ্রুত সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে রক্ষা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে যদি ব্যক্তির নাম নিতে হয় তাহলে সেটা অন্য কেউ নয় অবশ্যই তাজউদ্দীন আহমদ। বরেণ্য সাংবাদিক-সাহিত্যিক ফয়েজ আহমদ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে গেলে, তাকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি, বামপন্থি বলে। এটা জেনে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ তাকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘যুদ্ধের পাশাপাশি এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো যুদ্ধের অনিবার্য অনুষঙ্গ। আপনার অবদান এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান হতে সাহায্য করবে।’ আমরা জানি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ফয়েজ আহমদের অসামান্য ভূমিকার কথা।
একটি জাতীয় দৈনিকের উপসম্পাদকীয় পাতায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমলার লেখায় জানা যায়, ‘দেশ ও জনগণের বৃহৎ স্বার্থে তাকে পদত্যাগের লিখিত আদেশনামা পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সভায় মিলিত হয়ে চরম উত্তেজনায় ছটফট করছিলেন। পদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করে পাঠাতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই ছিল তার এই উত্তেজনা। মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এখনো তাজউদ্দীন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠাননি।’ এতে তাজউদ্দীন-বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘তাজউদ্দীন লোকজন নিয়ে দল পাকাচ্ছেন।’ এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে যদি অনতিবিলম্বে পদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করে না পাঠায় তবে তাকে আমি বহিষ্কার করব।’ দীর্ঘক্ষণ সরকারি উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা সভাকক্ষের দরজায় দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতির জন্য বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও অনুমতি পাচ্ছিলেন না। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের তাগিদের অনেক পরে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি ফিরিয়ে তাকে ধমকের সুরে বলেন, ‘কী চাও? দেখছো না মিটিং করছি।’ সরকারি কর্মকর্তাটি দ্রুত ভেতরে ঢুকে হাতে থাকা ফাইলটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ‘স্যার পদত্যাগপত্র পাওয়া মাত্র তাজউদ্দীন সাহেব স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। আমি দীর্ঘক্ষণ ফাইল নিয়ে দরজায় অপেক্ষায় ছিলাম। অনুমতি না পাওয়ার কারণে ভেতরে আসতে পারিনি।’ ফাইল হাতে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ পাথর হয়ে যান। মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষ নীরব বিমূঢ়। প্রকৃত ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে। চাপা পড়েনি। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণটি জানার পর নিশ্চয় অনুমান করা অসাধ্য নয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমদের অমর্যাদাকর-নিষ্ঠুর উপায়ে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি। তাজউদ্দীনকে বিদায়ের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের পথ উন্মুক্ত হয়েছিল। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর রক্তাক্ত ঘটনা তারই উজ্জ্বল প্রমাণ। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তাজউদ্দীনকে মন্ত্রিসভায় যোগদান করানো যায়নি। এমনকি বলপ্রয়োগেও নয়। রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা তাজউদ্দীনসহ চারজন শীর্ষ নেতাকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয় কেন্দ্রীয় কারাগারে। নিহত চারজনের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল তাজউদ্দীন আহমদ হত্যা। স্বাধীন দেশে প্রধানমন্ত্রীরূপে তাজউদ্দীন আহমদ নগণ্য ক’টি দিন দেশ পরিচালনা করেছেন। স্বল্প সময়ে তার প্রশাসনিক দক্ষতা, বিচক্ষণতা, দেশপ্রেমের নানা দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
মনে পড়ে, হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের থেকে মিত্রবাহিনীর সদস্যরা অজস্র অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই অর্থে মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্বর্ণ ক্রয়ের হিড়িকের সংবাদ জানামাত্র প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সমস্ত স্বর্ণের দোকানের স্বর্ণ বিক্রি বন্ধের আদেশ জারি করেছিলেন। যাতে দেশের স্বর্ণ সম্পদ লুণ্ঠিত অর্থের জোরে পাচার হতে না পারে। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অটল ছিলেন। বিশ্বব্যাংকসহ পুঁজিবাদীদের ঋণ প্রত্যাখ্যানে অনন্য নজির রেখে গেছেন। প্রখর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন তাজউদ্দীন আহমদ দাতার বেশে পুঁজিবাদের অনুপ্রবেশ শক্তহাতে রুখেছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদ দেশ ও জনগণের প্রকৃত সেবকরূপে নিজেকে প্রমাণ দিয়ে গেছেন। দলীয় সংকীর্ণতায় নিজেকে বিলীন করেননি। দলবাজির বৃত্ত-বলয় তাকে সংকীর্ণ করতে পারেনি। সমষ্টিগত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা ছিল বলেই মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে দল ও শ্রেণির বৃত্তে সীমাবদ্ধ না করে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন দেশবাসীর মধ্যে। দলের সঙ্গে এবং দলপতির সঙ্গে মতাদর্শিক মতভেদ সৃষ্টির কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অত্যন্ত গ্লানিকর উপায়ে। ২২ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুজিবনগর সরকারের ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পরদিন ২৩ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এই তিন নীতির ওপর ভিত্তি করে দেশকে গড়ে তোলা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তারা সংগ্রাম করেছিলেন আইনের শাসন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শোষণ ও বৈষম্য চিরতরে অবসানের জন্য এবং একমাত্র সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এ দেশের সব মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করা সম্ভব।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের তুলনায় তাজউদ্দীনের অবস্থান অবশ্যই ঠিক তার পেছনের কাতারে। দলে এবং জনপ্রিয়তায় তাজউদ্দীন নিশ্চয় বঙ্গবন্ধুর সমকক্ষ ছিলেন না। দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অধীনে দলের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীনের পক্ষে হিমালয়সম বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে স্পর্শ করা সম্ভব ছিল না। এবং তিনি তেমন ধৃষ্টতা কখনো প্রদর্শনও করেননি। দলপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি আজীবন অনুগত ছিলেন। তাজউদ্দীন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। ছিলেন দূরদর্শী। দলীয় আনুগত্য নিশ্চয় ছিল। কিন্তু ছিল না দলীয় সংকীর্ণতা। সেটা তিনি সচেতনভাবে অতিক্রমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণের বৃত্তে সীমাবদ্ধ না করে অসামান্য বিচক্ষণতার দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতি সে কারণেই সম্ভবপর হয়েছিল। জনগণের মুক্তি আকাক্সক্ষার কারণেই জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে তার বিরোধ। জাতীয়তাবাদী মাত্রই ক্ষমতাপ্রাপ্তিতে পরিতৃপ্ত। জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তিনি অবশ্যই ব্যতিক্রম। ভূখণ্ডের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতাপ্রাপ্তি শেষ কথা নয়। মুক্তিযুদ্ধকে আরও এগিয়ে নিয়ে জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে তিনি অগ্রসর হতে চেয়েছেন। যেটা তার দল এবং স্বয়ং দলপ্রধান বঙ্গবন্ধু চাননি। মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়কের অপমানজনক বিদায়ের নির্মম ইতিহাস কারও অজানা নয়। অথচ তাকে যথার্থ মূল্যায়ন ও কাজের সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নতর হতো। ভিন্নতর হতো অভাগা দেশ ও জনগণের সামগ্রিক জীবন। আজ তার জন্মশতবার্ষিকী। এই দিনে সতত শ্রদ্ধা, মহান বীরের প্রতি।
লেখকঃ নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত

