লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী হেলেন অ্যাডামস কেলার ১৮৮০ সালের ২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আর্থার কেলার এবং মা কেইট অ্যাডামস। মাত্র ১৯ মাস বয়সেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিরদিনের জন্য কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি হারিয়ে যায় হেলেনের। বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্ব নিয়েই মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন হেলেন। হেলেনের আট বছর বয়সে অ্যানি সুলিভান নামের এক গৃহশিক্ষিকা তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। পরবর্তী ৪৯ বছর শিক্ষা-দীক্ষা ও এক অনন্য মানবিক সম্পর্কে যুক্ত থাকেন তারা দুজন। অ্যানি নিজেও একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেন এবং পরে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন হেলেন। বাকশ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও গণমানুষের সহায়তা অর্জনে সচেষ্ট ছিলেন হেলেন। এই কাজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল, মার্ক টোয়েন ও চার্লি চ্যাপলিনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সহায়তা পেয়েছেন। হেলেন ১৯১৫ সালে জর্জ কেসলারকে সঙ্গে নিয়ে ‘হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থাটি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের বিড়ম্বনা ও দুঃখ-দুর্দশাকে উপজীব্য করে নির্মিত জর্জ ফস্টার প্ল্যাট পরিচালিত নির্বাক ছবি ‘ডেলিভারেন্স’ প্রযোজনা করেন এবং এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন হেলেন। ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই হেলেন কেলার মৃত্যুবরণ করেন।