১২১ জন যাত্রী বহনকারী বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সময় হঠাৎ জ্ঞান হারালেন পাইলট
কোয়ান্টাসের একজন মুখপাত্র দ্য নাইটলিকে জানিয়েছেন, পাইলট চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তাকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিডনিতে অবতরণের পর একজন পাইলটের শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমাদের পাইলটরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন। আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা আমাদের অগ্রাধিকার।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি) জানিয়েছে, তারা ফ্লাইটে ‘পাইলটের অক্ষমতার ঘটনা’ সম্পর্কে অবগত এবং তারা সন্তুষ্ট যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। পাইলটকে সহায়তা করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।
ব্যুরো জানিয়েছে, এটিএসবি’কে জানানো হয়েছে নিরাপদ অবতরণের পর বিমানটি টারম্যাকে থাকাকালীন পাইলট অসুস্থ বোধ করেন এবং কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারান। আরও দুইজন ফ্লাইট ক্রু ককপিটে ছিলেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং কোনও দুর্ঘটনা ছাড়াই বিমানটিকে গেটে নিয়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো এই ঘটনাটিকে নিয়ে আর কোনো তদন্ত করছে না। পাইলট অসুস্থ হওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল তিন মাস আগে কোয়ান্টাসের ফ্লাইট নম্বর কিউএফ৫০৫-তে।
ব্রিসবেন থেকে সিডনিগামী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের ক্রুরা জানিয়েছেন, বিমানটি আকাশে ওঠার সময় একজন পাইলট গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হন। ক্যাপ্টেন বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সেই ফ্লাইটে ১২৭ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। ঘটনার পর বিমানে থাকা প্রথম অফিসার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন এবং জরুরি অবতরণ করেন। বিমান থেকে প্যান কল জারি করা হয়েছিল। এই সংকেতটি একটি মেডিকেল জরুরি অবস্থা নির্দেশ করে। যার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বিমানের দ্রুত অবতরণের ব্যবস্থা করা হয়।
পরে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে এবং ক্যাপ্টেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এটিএসবি পাইলটদের সাথে জড়িত চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার রিপোর্ট পেয়েছে এবং বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণের জন্য কিউএফ-৫০৫ সম্পর্কিত ফ্লাইটের তথ্য সংগ্রহ করছে।
সূত্র: দ্য নাইলটলি