খ্যাতনামা কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেন ২০১৩ সালের ১৬ জুন মৃত্যুবরণ করেন। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার জয়নগর গ্রামে ১৯৫০ সালের ৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক এবং ১৯৭১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং ১৯৮১ সালে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। খোন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৭৩ থেকে ২০১৩ সাল অবধি টানা চার দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ২০১৩ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই তার প্রয়াণ ঘটে। খোন্দকার আশরাফ হোসেনের প্রথম দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘তিন রমণীর ক্বাসিদা’ (১৯৮৪) এবং ‘পার্থ তোমার তীব্র তীর’ (১৯৮৬) সমালোচক ও কবিদের নজর কাড়ে। পরবর্তী সময়ে অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। খ্যাতিমান অনুবাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৮৬ সালেই তিনটি ধ্রুপদি গ্রিক নাটক সফোক্লিসের ‘রাজা ঈদিপাস’ এবং ইউরিপিদিসের ‘মিডিআ’ ও ‘আলসেস্টিস’ অনুবাদ করেন। মেধাবী এই গবেষক ও সাহিত্য সমালোচকের প্রকাশিত অসংখ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে। তার সর্বশেষ প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘বাঙালির দ্বিধা ও রবীন্দ্রনাথ এবং বিবিধ তত্ত্বতালাশ’। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’, ‘জীবনানন্দ পুরস্কার’, এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার’ লাভ করেন।