করোনা মহামারি প্রতিরোধে এবার কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?
প্রান্তডেস্ক:২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ঘটে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। তারপর থেকে গোটা দেশ এক অনিশ্চিত ও কঠিন সময় পার করে। তবে ২০২৩ সাল থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সে বছর করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হলেও ২০২৪ সালে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মানুষও ফিরতে শুরু করে স্বাভাবিক জীবনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও এখনো তা মহামারির রূপ নেয়নি। তবে তারা মনে করছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখনই সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মাঝে মাঝেই কোভিডের নতুন উপধরণ দেখা যায়, যার ফলে সংক্রমণ বাড়ে। এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে করোনার কোনো মৌসুমি বৈশিষ্ট্য আছে কি না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যতটা সম্ভব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে ভাইরাসের পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কমে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিট সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সে জন্য বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।এছাড়া, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরিধানসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চললে করোনার নতুন এই ঢেউ সামলানো সম্ভব বলেই আশা করছে সরকার ও বিশেষজ্ঞ মহল।