যুগান্তর সম্পাদকের মানহানি: দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ছবি: সংগৃহীত
প্রান্তডেস্ক:বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের নামে মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বাসস’র এমডি মাহবুব মোর্শেদ এ মামলায় জামিনে ছিলেন। এদিন তিনি স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে আদালত পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দেন।
বাদী আবদুল হাই শিকদারের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২৩ মার্চ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। আর সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন।
ওই পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান’।
আসামি খাইরুল আলমও গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আবদুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা’
এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক থেকে পোস্ট করেন। তার পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আবদুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল’।
এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা খাইরুল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে।