১৯০৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন জগদ্বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সালভাদর দালি। পুরো নাম সালভাদর দোমিঙ্গো ফেলিপ জ্যাকিন্তো দালি-ই দোমেনেক। ১৯১৬ সালে তিনি প্রথম ড্রয়িং স্কুলে ভর্তি হন। ১৯২২ সালে দালি মাদ্রিদের রেসিডেন্স দ্য স্টুডেন্টের ফাইন আর্টস বিভাগে যোগ দেন। এখানেই তার পরিচয় ঘটে স্পেনের বিখ্যাত কবি ও নাট্যকার ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা ও চলচ্চিত্রকার লুই বুনুয়েলের সঙ্গে। দালি-বুনুয়েল দুজন মিলে তৈরি করেন দুটি সুররিয়ালিস্ট চলচ্চিত্র। ১৯২৫ সালে দালির প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনী হয় বার্সেলোনায়। সেখান থেকেই শুরু সাফল্যের যাত্রা। পরে প্যারিসে গিয়ে তিনি দাদাইজম ও সুররিয়ালিস্ট ধারার কাজের সঙ্গে পরিচিত হন। এ সময় পাবলো পিকাসোর কাজ দ্বারাও প্রভাবিত হন দালি। জলরং, তেলরং, ড্রয়িং, লিথোগ্রাম, কোলাজ, কাচ ও ক্রিস্টাল পাথর প্রভৃতি মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। স্বপ্ন, কল্পনা, নির্মোহ বাস্তবতা ও মানুষের মনোজগৎ বিশ্লেষণে দালির ছবি আজও জগদ্বিখ্যাত। দালির ছবিতে বিশেষ কিছু প্রাণী বা বস্তু লক্ষণীয়। যেমন হাতি, ডিম, পিঁপড়া, শামুক ইত্যাদি। হাতিতে প্রাচীনতা, পিঁপড়াকে মৃত্যু, ক্ষয় ও কামুকতার প্রতীক এবং শামুককে তিনি মানুষের মাথার সম্পর্কের প্রতীক তৈরিতে ব্যবহার করেছেন। তার নবিলিটি অব টাইম, প্রোফাইল অব টাইম, পারসিসট্যান্স অব মেমোরিকে বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুররিয়ালিস্ট ছবির তালিকায় রাখা হয়। ‘দ্য পারসিসট্যান্স অব মেমোরি’ তিনি আঁকেন ১৯৩১ সালে। দালির জীবনে তার স্ত্রী গালার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। দালি মাত্র ৩৭ বছর বয়সে তার আত্মজীবনী লেখেন। ১৯৮৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দালি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালের ২৩ জানুয়ারি এই মহান শিল্পী মারা যান।