জুলাই ফাউন্ডেশনে নতুন সিইও মানেন না শহিদ ইয়ামিনের বাবা

ছবি: সংগৃহীত
এ সময় শহিদ ইয়ামিনের বাবা মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ আমরা মানি না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে দিতে হবে। তাদের মধ্যে যোগ্য লোক রয়েছে।’
তিনি জানান, বোর্ড সভায় নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করা হলে তিনি আপত্তি করেন। এ সময় ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ তাকে তিরস্কার করে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পদ ছাড়েন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে তিনি এখন থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
উচ্চ শিক্ষার সুবিধার্থে পদ ছেড়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। উচ্চশিক্ষায় সময় দিতে পদত্যাগ করেছি।’
গত বছরের ২১ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গঠিত ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক এবং জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা হিসেবে অনুমোদন পায়।
এরআগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফাউন্ডেশনের প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়া শহিদ মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে দেওয়া হয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের কল্যাণার্থে তাদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের ওষুধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা দিতে এই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়।