১৯০০ সালের এই দিনে অবিভক্ত বাংলার বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা। তিনি ১৯১৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসা থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯২৪ সালে রসায়নশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করে স্বর্ণপদক লাভ করেন। রসায়নশাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণার জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৩১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রভাষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান সরকারের জনশিক্ষা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান এবং ১৯৪৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তান বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের তিনি প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালে তাকে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত এই কমিশনের রিপোর্ট ‘কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তিনি ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর নিযুক্ত হন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পাটকাঠি থেকে পারটেক্স উৎপাদন ছিল তার সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক অবদান। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চাকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তান সরকার তাকে তমঘা-ই-পাকিস্তান ও সিতারা-ই-ইমতিয়াজ খেতাব প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর তিনি মারা যান।