মানবিক করিডর বিষয়ে সরকার চুক্তি করেছে কিনা, জানালেন খলিলুর রহমান

ফাইল ছবি
প্রান্তডেস্ক:মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ হয়ে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
রোববার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবিক করিডর নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। এটি নিয়ে কেবল প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আমেরিকার হয়ে আরাকানে প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করছে এমন গুজব কিছু প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যম ছড়াচ্ছে। যা কখনো কাম্য নয়।’
রোহিঙ্গাদের কখনোই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ‘যদি সেটা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ হবে প্রতিবেশী দেশগুলোর ডাম্পিং গ্রাউন্ড।’
সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মতো সংকটগুলো শান্তিপূর্ণভাবে নয়, সংঘাতের মধ্য দিয়েই সমাধান হয়। ইতিহাস তাই বলে।’এ সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ আফ্রিকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা যুদ্ধকে উদাহরণ হিসেবে দেখান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংকট ঘিরে নতুন আলোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর সূত্রপাত হয় মিয়ানমার সীমান্তে হিউম্যানিটারিয়ান বা মানবিক করিডর গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্যের মাধ্যমে, যেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত দুই মাসে রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে ক্রমাগত নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলমান। রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম ইতিবাচক আলোচনা শুরু হয় মার্চ মাসে, যখন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে পবিত্র রোজার মাসে তাদের সঙ্গে ইফতার করেন।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাদের মেহমান উল্লেখ করে বলেন, তিনি প্রত্যাশা করেন আগামী রোজা রোহিঙ্গারা নিজ দেশে করতে পারবেন।’