বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আহ্বানে মে দিবসে সেলিমের শ্রমিক গণঅভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি
প্রান্তডেস্ক:বৈষম্য দূর করার কথা বলে দেশে গণঅভ্যুত্থান হলেও শ্রমিকদের জীবনে তার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
বৃহস্পতিবার পল্টনের মুক্তি ভবনের সামনে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র আয়োজিত মে দিবসের সমাবেশে তিনি বলেন, “গত জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান হলো, বলা হলো বৈষম্য দূরীকরণের জন্য। যদি তাই হয়, তাহলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে কেন, কিন্তু শ্রমিকের বেতন বাড়ে না? বেতন বাড়ে ৫ টাকা, জিনিসের দাম বাড়ে ১০ টাকা—এই বৈষম্য আর চলতে দেওয়া যাবে না।”
সরকার প্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মে মাসের মধ্যে ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। দেরি করলে মনে রাখবেন, আমাদের পরবর্তী দাবি হবে ৩৫ হাজার টাকা।”
প্রয়োজনে ‘শ্রমিক গণঅভ্যুত্থান’ করারও ঘোষণা দেন সেলিম। বলেন, “মজুরি নিয়ে দরকষাকষি, নেতাদের চাকরিচ্যুতি চলবে না। ট্রেড ইউনিয়ন ও বেতন নিয়ে কথা বলুন—নয়তো শ্রমিক বিপ্লব আসবে।”
সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মে দিবসে সরকারি ছুটির ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু, কিন্তু এখনও অধিকাংশ শ্রমিক এই ছুটি পান না।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, “গার্মেন্ট শ্রমিক সাতদিন আন্দোলন করে দাবি আদায় করেছে, ৭ তারিখের মধ্যে টাকা না পেলে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ কাফি রতন, সহ-সভাপতি জলি তালুকদারসহ অন্য নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেন।