গুলিয়েলমো মার্কোনি ১৮৭৪ সালের ২৫ এপ্রিল ইতালির বোলোনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষাপ্রাপ্ত ছিলেন না। তার পিতা ছিলেন ইতালির একজন ধনী ব্যবসায়ী। মার্কোনি ছিলেন ইতালীয় উদ্ভাবক এবং প্রকৌশলী, যিনি বেতার যন্ত্রের সম্প্রচার পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি একটি ব্যবহারিক রেডিওগ্রাফ পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন। এই উদ্ভাবনকে কেন্দ্র করেই বিশ্বের অসংখ্য ব্যবসায়িক ও প্রাযুক্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ১৯০৯ সালে কার্ল ফের্ডিনান্ড ব্রাউনের সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বেতার সম্প্রচার পদ্ধতির ভিত্তিস্থাপনের জন্যই তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯০৯ সালে সরকার কর্র্তৃক তিনি সম্মানিত হন এবং ইতালি সরকার তাকে আজীবন সিনেট সদস্য নির্বাচিত করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মার্কোনি ইতালীয় বেতার-সার্ভিসের কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯২৯ সালে ইতালির তৎকালীন রাজা তাকে ‘মারকুইস’ খেতাব দান করেন। অবশ্য মার্কোনির আগেও ম্যাক্সওয়েল, হার্ৎস কেলভিন, বাঙালি স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, আলেক্সান্দর পপোভ প্রমুখ বিজ্ঞানী এ বিষয়ে গবেষণা করে গেছেন। রেডিও সম্পর্কে একটা অজানা তথ্য হলো, মার্কোনি রেডিও আবিষ্কার করার আগেই আমাদের দেশের বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও আবিষ্কার করেছিলেন কিন্তু তিনি তখন এর স্বীকৃতি নিতে পারেননি। তবে তাদের সেই অসমাপ্ত কাজকে সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়ে বিজ্ঞানী মার্কোনি অমর হয়ে আছেন। জগদীশচন্দ্র বসু প্রথম বেতার আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। গুগলিয়েলমো মার্চেজ মার্কোনি ১৯৩৯ সালের ২০ জুলাই মাত্র ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।