১৯১৮ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং ভাষা আন্দোলনের সংগঠক শওকত আলী। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী মুসলিম লীগই পরে আওয়ামী লীগ এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে পরিচিতি পায়। তিনি তিনটি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদেরই সদস্য ছিলেন। তার বাবা শমসের আলী ছিলেন ব্যবসায়ী। দুই বছর বয়সেই শওকত আলী মা মেহেরুননেসাকে হারান এবং বাবা ও মামা-মামির স্নেহে বেড়ে ওঠেন। পুরান ঢাকার মুসলিম হাইস্কুলে তার লেখাপড়া শুরু হয়। পরে জগন্নাথ কলেজ থেকে বিকম ডিগ্রি লাভ করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ থাকলেও রাজনীতিসম্পৃক্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। শওকত আলী তমদ্দুন মজলিশের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ‘তমদ্দুন মজলিশের রাষ্ট্রভাষা উপকমিটি’ নামে গঠিত হয়। শওকত আলী ছিলেন এ কমিটির নির্বাচিত সদস্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর শুনেই তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তিন দিন পর ১৮ আগস্ট তিনি হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে মারা যান। ভাষা আন্দোলনে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০১১ সালে শওকত আলীকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১০ সালে ধানমণ্ডি ৪/এ সড়কটি তার নামে নামকরণ হয়।