শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উল্লাপাড়া থানা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পাল্টা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে জামায়াতের পক্ষ থেকে।
আহত ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন আজাদ। তিনি নেতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব। ঘটনার পর তাকে প্রথমে উল্লাপাড়া কাওয়াক ৩০ শয্যা হাসপাতাল ও পরে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির নেতারা জানান, বিএনপি নেতা আজাদ উল্লাপাড়া মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির অফিসে নিয়মিত উঠাবসা করেন। ইসলামী ছাত্র-শিবিরের নেতা-কর্মীরা এ বছর সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ইজারা তুলতে এসে মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির অফিসের কক্ষ থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলতে বলেন। এ নিয়ে ওই সময় স্থানীয়দের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। শুক্রবার উপজেলা মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে বিএনপি নেতা আজাদ থানার গেটের সামনে যান। সেখানে বৃহস্পতিবারের ঘটনার জের ধরে শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আজাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তারা হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম পিনু বলেন, ‘জামায়াতের ইসলামীর পক্ষ থেকে উল্লাপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড বাংলা নতুন বছরের ইজারা নেওয়া হয়েছে। জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা ইজারার টাকা তুলতে গেলে বিএনপি নেতা আজাদের সমর্থক দলীয় নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার সকালে তাদের দুই দফা মারধর করে। এরই জের ধরে বিএনপি নেতা আজাদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।’ উল্লাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিয়ামুল হক বলেন, আহত আজাদকে বগুড়ায় নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।