মাথার দাম ৪০ লক্ষ টাকা, ১২ নেতানেত্রী-সহ ২২ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ ছত্তীসগঢ়ের সুকমায়

ছত্তীসগঢ়ে ২২ মাওবাদী নেতা-কর্মীর আত্মসমর্পণ। ছবি: সংগৃহীত। (ছত্তীসগঢ় পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আত্মসমর্ণকারীরা।)
প্রান্তডেস্ক:কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে ছত্তীসগঢ়ে, মহারাষ্ট্রে ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু হচ্ছে মাওবাদী গেরিলাদের। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে আত্মসমর্পণের প্রবণতাও। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বস্তার ডিভিশনের সুকমা জেলার ২২ জন মাওবাদী নেতা-কর্মী। যাঁদের মধ্যে ১২ জনের মাথার মোট দাম ছিল ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বাণ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ন’জন মহিলা-সহ ২২ জন মাওবাদী। সুকমা জেলা পুলিশ আত্মসমর্পণে সহযোগিতা করেছে।’’ তিনি জানান, সরকারি নীতি মেনে আত্মসমর্পণকারীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে। গত বছর, সুকমা-সহ বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এ বছর সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যেতে চলেছে বলে ছত্তীসগঢ় পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে।আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র মাঢ় (অবুঝমাঢ়) ডিভিশনের ১ নম্বর প্ল্যাটুনের সহকারী কমান্ডার মুছকি জোগা এবং তাঁর স্ত্রী। মুছকির মাথার দাম ছিল আট লক্ষ টাকা। এ ছাড়া কিকিড় দেব এবং মনোজ ওরফে দুধি বুধরার মাথার উপর পাঁচ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ছত্তীসগঢ় পুলিশ। মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফেরাতে ২০২০ সালের জুন মাসে ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘বাড়ি ফিরুন’) কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ছত্তীসগঢ়ে। সাম্প্রতিক সময়ে একই উদ্দেশ্যে শুরু হয় ছত্তীসগঢ় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) এবং ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (আপনার ভাল গ্রাম) প্রচার কর্মসূচি। যার পরিণামে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে সরকারি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।(সৌজন্যে:আনন্দবাজার.কম)