ফরাসি লেখক ও দার্শনিক সিমন দ্য বোভোয়া ১৯৮৬ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দর্শন, রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়াবলির ওপর রচনা, গ্রন্থ ও উপন্যাস এবং জীবনী ও আত্মজীবনী রচনা করেন। বিশ শতকের নারীবাদী চিন্তকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী ফরাসি এই নারীবাদী লেখক ১৯০৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়সে সিমন সিদ্ধান্ত নেন লেখক হওয়ার। ফ্রান্সের বিখ্যাত সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন সিমন। সেখানে জ্যাঁ পল সার্ত্রের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে ২১ বছর বয়সে সিমন দর্শনশাস্ত্রের পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। একই পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন জ্যাঁ পল সার্ত্র। সে সময় এই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব, প্রেম ও চিন্তার আদান-প্রদানের জটিল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিমন দ্য বোভোয়া ১৯৪৩ সালে লেখেন প্রথম উপন্যাস ‘শি কেম টু স্টে’। ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয় সিমনের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘লা সেং ডেস অট্রিস’ প্রকাশিত হয়। ১৯৪৯ সালে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয় তার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় বই ‘দি সেকেন্ড সেক্স’। এতে তিনি লিঙ্গবৈষম্যের ঐতিহাসিক ও মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তিগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং নারীবাদের একটি অন্যতম ভিত্তিগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১১৯৭৯ সালে প্রগতিশীল নারীদের জীবন অবলম্বনে লেখেন ছোটগল্প ‘দ্য থিংস অব দি স্পিরিট কাম ফার্স্ট’। নারী অধিকারবিষয়ক তার আরেক ছোটগল্পের সিরিজ ‘দি ওমেন ডেস্ট্রয়েড’ বেশ সাড়া জাগায়। ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয় ‘দি এথিক্স অব এমবিগিউটি’। অনেকে বলেন এটি সার্ত্রের বিখ্যাত ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ দ্বারা অনুপ্রাণিত। ১৯৮১ সালে সার্ত্রের জীবনের শেষ বছরগুলোর স্মৃতি নিয়ে প্রকাশ করেন ‘এ ফেয়ারওয়েল টু সার্ত্র’। ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল সিমন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।