প্রান্তডেস্ক:আজ ১০৮৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে মিসরের বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। ৩৬১ হিজরির ৭ রমজান মোতাবেক ৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ২১ জুন জুমার নামাজ পড়ার মাধ্যমে জামিউল আজহার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মসজিদ প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হবে।
এক বিবৃতিতে গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমদ আত-তাইয়িব বলেছেন, ‘১০৮৫ বছর ধরে আল-আজহার আল্লাহর অনুগ্রহে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর প্রজ্ঞার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
এ সময় আলোকিত মধ্যপন্থা রীতিকে ধারণ করে যুক্তিনির্ভর ও প্রথাগত জ্ঞানচর্চা এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তা শুধু মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যায়লই নয়; বরং পুরো মানবজাতির কল্যাণে এর রয়েছে সুমহান বার্তা। বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে তা একটি উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। আমরা মহান আল্লাহর কাছে এই বার্তা বহন ও দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা কামনা করি।
’২০১৮ সালে আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমদ আত-তাইয়িবের নেতৃত্বে আল-আজহারের সর্বোচ্চ পরিষদ ৩৬১ হিজরির ৭ রমজানকে আল-আজহার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে বিশ্বের ১২০টি দেশের ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।উল্লেখ্য, ৯৭০ বা ৯৭২ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ৩৬১ হিজরির ৭ রমজান জুমার নামাজ পড়ার মাধ্যমে জামিউল আজহার প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ফাতেমি খলিফা আল-মুইজ লি-দিনিল্লাহর নির্দেশে সেনাপতি জওহর সিকিল্লি ফাতেমির তত্ত্বাবধানে তা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মরক্কোর আল-কারাওয়াইন ও তিউনিশিয়ার আজ-জাইতুনার পর এটিকে বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও কয়েক বছর পরই তা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। প্রথম দিকে তা ইসমাইলি শিয়াদের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ৫৮৯ হিজরিতে সালাহুদ্দিন আইয়ুবির মিসর জয়ের পর তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে সুন্নি ধারার ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন।
সূত্র : আল-আহরাম