অপারেশন ডেভিল হান্ট: চুনারুঘাটে আ.লীগ সভাপতিসহ আটক ৪

ছবি: সংগৃহীত
আজ শনিবার সকালে চুনারুঘাট অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম গনমাধ্যম কে নিশ্চিত করে জানান, তিনজনকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ আটক করেন। আর একজনকে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি টিম করেছে।
আটককৃত ব্যক্তি ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী। তাকে রাত আড়াটায় তার হবিগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনীসহ সদর থানা পুলিশের একটি টিম। এছাড়া চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রউছ উল্লাহ, পৌর যুবলীগের সদস্য সচিব মাজেদুল হক লুবন, উপজেলা তাঁতি লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান মাসুককে নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার নতুনব্রিজ (শায়েস্তাগঞ্জ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনসহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। উক্ত মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামি ছিলেন সবাই।
গত বুধবার চুনারুঘাট যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় এ মামলাটি করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান আবদাল, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক সজল দাশ, তাঁতী লীগের সভাপতি কবির মিয়া খন্দকার, কাউন্সিলর আবদুল হান্নান ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলী,মুক্তিযোদ্ধা সামাদ প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভ চলাকালে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নির্দেশে একদল লোক আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালায় এমন অভিযোগ করা হয়।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর।