জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলায় রায় ৩০ জানুয়ারি
এর আগে, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন।
২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। যার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
এছাড়া, জি কে শামীমের বাসা থেকে জব্দ করা নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে দুদক।