জামিন পেলেন ভারতে গ্রেপ্তার সিলেট আ. লীগের ৫ নেতা
প্রান্তডেস্ক:ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া সিলেট আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতা জামিন পেয়েছেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জোয়াই ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস জেলার আমলারিয়াং বিচারক আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তাদের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনের কপি জেল হাজতে পৌঁছার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাতক উপজেলা যুবলীগ নেতা সাহাব উদ্দিন সাহেল।
ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা জোয়াই পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর জে কে মাজাও জানান, ‘বাংলাদেশের ছয় নাগরিকসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে ডাউকি পুলিশ স্টেশনে ১৬ আগস্ট একজন ট্রাক ড্রাইভার লিখিত অভিযোগ করেন। ১৯ আগস্ট মামলা রুজু করা হয়।এই মামলায় রবিবার পাঁচজনকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ডাউকি থানায় তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ রয়েছে। এর ভিত্তিতে তাদেরকে মঙ্গলবার আমলারিয়াং জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে বলেন, ‘এজাহারে কারো নাম উল্লেখ না থাকলেও তদন্ত সাপেক্ষে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরো চারজন পলাতক রয়েছেন। আদালতে শুনানি শেষে গ্রেপ্তারদের জোয়াই কারাগারে পাঠানো হয়।
জোয়াই আদালতের আইনজীবী রাম সিং জানান, তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, জাতীয় সড়কে ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সিলেট সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং যান। অভিযুক্তরাও একই সময়ে শিলং যান।
শিলং শহরে তারা প্রথমে পুলিশ বাজার এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান নেন। পরে শহরের একটি এলাকায় বাসা ভাড়া নেন তারা। ডিসেম্বরে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ৫ নভেম্বর তারা শিলং থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত হন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘তারা ভারতে প্রবেশের পর শিলংয়ের লাইমক্রা পুলিশ স্টেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন এবং ভারতে অবস্থানের অনুমোদন পান। হয়রানির উদ্দেশে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই ও গাড়ি ভাঙচুরের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।(’সৌজন্যে: সিলেট টু- ডে- ২৪.কম)