হাসিনার পক্ষে মামলা লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন আইনজীবী পান্না
জেড আই পান্না বলেন, ‘আমি সবসময় আছি নিপীড়িতের পক্ষে। সে যেই হোক না কেন। যদি সুযোগ হয় আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াই করব, সেটা ট্রাইব্যুনাল হোক আর অন্য যেকোনো জায়গায় হোক।’
সিনিয়র এ আইনজীবী মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। সারাদেশে গণ-মামলার সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগে ছিল গণ-গ্রেপ্তার, এখন হচ্ছে গণ-মামলা। তো গণ-মামলা হলে পরে গণ-গ্রেপ্তারও হবে। এটার ভিকটিম এক সময় আমিও ছিলাম। তবে অকল্পনীয়ভাবে গণ-মামলা চলছে। এমন এর আগে কখনো হয়নি। একই স্ক্রিপ্ট- চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, না হয় পা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা গুলি লাগছে একটা- কিন্তু এ জন্যে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে পান্না বলেন, ‘ড. ইউনুস বোধ হয় উপলব্ধি করছেন যে, সংশোধন-টংশোধণ করা তার ঠিক হবে না। গতকাল তার একটি বক্তব্য দেখলাম তিনি বলছেন, রাজনৈতিক দল যদি সংস্কার না চায় তবে নির্বাচন দিয়ে আমি চলে যাব। আক্ষেপ বা অভিমান যে সুরেই তিনি এ কথা বলুক না কেন, এটাই সত্যি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক এবং একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ সরকারের দায়িত্ব নয় সংস্কার করা, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার দায় রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ সারাদেশে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।