সেতুর পাটাতন ভেঙে জগন্নাথপুর-ঢাকা সড়কে যোগাযোগ বন্ধ
সুপ্রান্তডেস্ক:নামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে আবারও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় স্টিলের পাটাতন খুলে গেলে গাড়িটি আটকে যায়।
সেতুতে ট্রাক আটকে যাওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এর আগেও একাধিকবার সেতুটির পাটাতন খুলে পড়াসহ সেতু ভেঙে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক জগন্নাথপুরে আসার পথে কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুতে উঠলে সেতুর চারটি পাটাতন খুলে নদীতে পড়ে যায়। এতে ট্রাকটির পেছনের অংশ দেবে যাওয়ায় সেতু দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ।
এদিকে সেতুতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নদী পারাপারে জনপ্রতি ১০ টাকা দিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন যাত্রীসাধারণ। এ সময় নতুন বর-কনে নিয়েও নৌকায় নদী পার হতে দেখা যায়।
বর যাত্রী আব্দুল বাছিদ বলেন, শ্যালকের নতুন বউ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। এই সড়ক ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প সড়ক নেই। যার কারণে নতুন বর-কনেকে নিয়ে নৌকায় পার হতে হচ্ছে। জিনিসপত্রসহ নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম জানান, সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চালু রাখার কারণে প্রায়ই যানচলাচলে সমস্যা হতো। এখন তো এই পথে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে সড়ক ও সেতু বিভাগের লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করতে আমরা কাজ করব।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়।