সিলেটে বিস্ফোরক মামলায় যুবলীগ নেতা রুপম ও ইমু গ্রেপ্তার
প্রান্তডেস্ক:বিস্ফোরক মামলার আসামি সিলেটের দুই যুবলীগ নেতা রুপম আহমেদ ও এমদাদ হোসেন ইমুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তাররা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে দেশের অভ্যন্তরে আনা চিনি পাচারকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন ইমু (৩০) এবং মহানগর যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি, সুনামগঞ্জের রুপম আহমেদ (৩৮)।
গ্রেপ্তার হওয়া ইমু আম্বরখানা শুভেচ্ছা ১১ আসার মো. আইয়ুবের ছেলে এবং রুপম সুনামগঞ্জে শান্তিগঞ্জ শত্রুমর্দন গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
র্যাব-৯ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে। এসব মামলায় পলাতক ছিলেন তারা। গ্রেপ্তারদের সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এরআগে গত ৬ জুন ভোরে ১৪ ট্রাক ভারতীয় চিনির চালান জব্দ করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। জব্দ করা চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল দুই কোটি টাকা। উমাইরগাঁওয়ে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ এ চিনি জব্দ করা হয়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারও জব্দ করে পুলিশ। ঘটনার দিন ১৪ ট্রাক চিনিসহ প্রাইভেটকারটির সঙ্গে সিলেট মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি গ্রুপের ক্যাডার হিসেবে রুপমের নাম উঠে আসে।