এই দিনে ১০ নভেম্বর
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর, ২০২৪ ৩:০৫ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ২৮ বার পঠিত
১৯৮৭ সালে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর নূর হোসেন শহীদ হন। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুজিবর রহমান ছিলেন বেবিট্যাক্সি চালক। নূর হোসেনের পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। নূর হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন বনগ্রামের রাধাসুন্দরী প্রাইমারি স্কুলে। ঢাকার গ্রাজুয়েট হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তিনি পড়াশোনা বন্ধ করে মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নূর হোসেন ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বনগ্রাম শাখার প্রচার সম্পাদক। রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে আন্দোলন চলছিল। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর জোটবদ্ধ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ‘ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি’ গ্রহণ করে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল এরশাদ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়। সেদিন নূর হোসেন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেন। তিনি গায়ের জামা খুলে উদোম বুক ও পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক : গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। গণমিছিলে শামিল জনতার মধ্যে সহজেই আলাদাভাবে তাকে চেনা যাচ্ছিল। পুলিশের গুলিতে জিপিওর সামনে জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন নিহত হন। কিন্তু তার বুকে-পিঠে লেখা সেøাগানই সারা দেশে জনতার সেøাগানে পরিণত হয়। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতন ঘটে এরশাদ সরকারের। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অমর এই শহীদের নামানুসারে জিরো স্কোয়ারের নামকরণ হয়েছে নূর হোসেন স্কোয়ার। বাংলাদেশের ডাক বিভাগ ১৯৯১ সালে তার নামে প্রকাশ করেছে স্মারক ডাকটিকিট।