৭৭ নদী হত্যায় দীপু মনিসহ ২৫৬ আওয়ামী লীগ নেতা
প্রান্তডেস্ক:নদী একেকটি জনপদের পরিবেশ-প্রতিবেশসহ মানুষের জীবিকার বড় উৎস। নদী ছাড়া পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও কৃষি সুরক্ষা কল্পনা করা অসম্ভব। অথচ গত ১৫ বছরে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে কার্যত প্রাণ হারিয়ে বিলুপ্তির প্রহর গুনছে অসংখ্য নদী। সোমেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, মেঘনাসহ আরও অনেক নদী তার চরিত্র হারিয়ে এখন বালুমহালে পরিণত হয়েছে। অনুসন্ধান বলছে, মেঘনা, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা ও পদ্মার মতো ৭৭টি নদীর ১৭৬টি স্থানে বালু তোলার সিন্ডিকেটে ছিল ২৫৬ আওয়ামী মাফিয়া। যার প্রধান মাফিয়া ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অনেক এমপি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ৭৭টি নদী এখন হুমকির মুখে। প্রতিদিন বালু উত্তোলন থেকে চাঁদাবাজির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রতিদিন এসব নদী থেকে ২৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘ফ্যাসিবাদের কবলে নদী’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এই তথ্য তুলে ধরেন রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।
দেশের অস্তিত্বের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের স্লোগান ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা। ঢাকার চতুর্দিকে চারটা নদী রয়েছে। এই নদীগুলোকে মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করতে পারলে তা জনবান্ধব হতো। মাফিয়ারা নদী দখল এবং পরিবেশ ধ্বংস করে গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করেছে। আমরা যাতে দখলদারদের প্রতিহত করতে পারি, সে জন্য রূপরেখা প্রণয়ন হবে।’ দীর্ঘ এবং স্বল্পমেয়াদি রূপরেখা প্রণয়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।