সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ও শেখ মুজিবের ভাষণ প্রচার করায় যশোরে গ্রেপ্তার ৫
প্রান্তডেস্ক:সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ভাষণ প্রচার করে যশোরের জেলা প্রশাসককে পরিকল্পিতভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম অডিটোরিয়ামে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হচ্ছেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পলাতক সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠুর স্ত্রী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শেকড় এর সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসু, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস ইভা, বাংলাদেশ কারাতে অর্গানাইজেশন্স এর সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ও দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক কাম কারাতে একাডেমির প্রশিক্ষক ইমরান হাসান টুটুল। প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, বাংলাদেশ কারাতে অর্গানাইজেশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো ও কারাতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর শাম্স উল হুদা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম অডিটোরিয়ামে ছিল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জয়তী সোসাইটি ও শেকড় যশোরের আয়োজনে উদ্বোধনী সংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন শুরু করেন শেকড় যশোরের শিল্পীরা। কিন্তু উদ্বোধনী সংগীতের নামে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার উন্নয়ন নিয়ে গুণকীর্তন ও শেখ মুজিবের ভাষণ বাজানো শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এর প্রতিবাদ করে তাৎক্ষণিক সংগীতসহ নৃত্য পরিবেশনা বন্ধ করে দেন এবং আয়োজকদের এসবের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। যা নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজহারুল ইসলাম পুলিশকে নির্দেশ দেন এই ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার। নির্দেশ মোতাবেক যশোর কোতোয়ালি পুলিশ তাৎক্ষণিক আয়োজক সংস্থার সভাপতি হুমায়ুন কবীর ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কর্তৃপক্ষ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। আটককৃতদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।