সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে শেয়ার করা স্ট্যাটাসে ফরহাদ মজহার লেখেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বলেছি যে চুপ্পুর কাছে শপথ নেওয়া ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কিন্তু আপনারা সেটাই করেছেন। আপনারা সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার বানিয়েছেন। বাস্তব সত্য স্বীকার করুন। এটা কি ঠিক করেছেন? আমার ভিডিওগুলো আবার শুনুন। পোস্টগুলো আবার পড়ুন। আপনারা আমাদের কারো কথা শোনেন নি। এমনকি কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করেন নি। আপনাদের অনেকে দাবি করেছেন, ট্রেন মিস হয়ে গিয়েছে, এখন আর কিছু করা যাবে না। এটাও ঠিক নয়। অবশ্যই সমাধান আছে। এখন সমাধানের কথা আলোচনা না করে খামাখা পদত্যাগপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।’
এর আগে লেখার শুরুতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার স্ট্যাটাসের কথা উল্লেখ করেন ফরহাদ মজহার। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার স্ট্যাটাসে লেখা, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় খুনি হাসিনা।’
এই মন্তব্যের সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার লেখেন, ‘আসিফ, এটা সত্য নয়। মৌখিক ভাবে পদত্যাগের কথা কখনোই বলা হয়নি। সবসময়ই প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র দেবার কথা বলা হয়েছে। যে জন্য আমি আমার একটি ভিডিওতে পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছি। আপনারা তখন দেখাতে পারেন নি। এখন কেন মৌখিক পদত্যাগপত্রের ভুয়া গল্প প্রচার করছেন?’
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন ফরহাদ মজহার। তিনি লেখেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আপনাদের এখন ব্যাখ্যা করতে হবে কোন যুক্তিতে আপনারা গণঅভ্যুত্থানকে ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে ঢুকিয়েছেন এবং সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। এখন যে ভয়াবহ রাজনৈতিক এবং আইনী জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেই অবস্থা থেকে নিষ্ক্রান্ত হবেন কিভাবে? সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকারতো এখনও অবৈধ। এর বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য কী করছেন?’
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন জানান, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এমন কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। তিনি শুনেছেন। কথোপকথনটি সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’—এ প্রকাশিত হয়েছে।