ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে গিয়ে নিখোঁজ শাহজাহান
প্রান্তডেস্ক:৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেরবিজয় মিছিলে গিয়েছিলেন সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. শাহজাহান আহমদ (২৬)।মিছিল নিয়ে ছাত্র জনতা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাও করে।ঐসময় চারজনকে আটক করে থানা কম্পাউন্ডে নেয় পুলিশ। এরপর থেকে নিখোঁজ শাহজাহান ।ঘটনার ১২ দিন পর আজও খোঁজ মিলছে না শাহজাহানের। পরিবারের সদস্যরা খোঁজ করেছেন থানায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছবি পোস্ট করে তার সন্ধান করছেন। কিন্তু কোথাও তার অস্তিত্ব মিলছে না।
নিখোঁজ শাহজাহান আহমদ মৌলভীবাজারের ছনকাপন গ্রামের হারুছ মিয়ার ছেলে। গত ২২ বছর ধরে তাদের বসবাস সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর এলাকায়। চার বোন ও ৭ ভাইয়ের মধ্যে শাহজাহান সপ্তম। ঘরে তার ছয় বছরের এক ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছেন।
শাহজাহানের ভাই পারভেজ আহমদ বলেন, সে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল স্ট্যান্ডে সিএনজি অটোরিকশা চালাতো। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট বিকেলে বিজয় মিছিলে যায়। দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাওকালে পুলিশ তাকে আটক করে বলে জানতে পারি। একটি ভিডিও চিত্রে তাকে দেখা গেছে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মিলছে না। ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পুলিশ থানা কম্পাউন্ড ছেড়ে চলে যায়। তখন খালি থানা কম্পাউন্ডে তাকে খুঁজতে গিয়েও পাইনি। গত কয়েকদিন থেকে পুলিশি কার্যক্রম চালু হলে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের নেতৃবৃন্দ তার খোঁজে থানায় যান। কিন্তু কোনো তথ্য পাননি।
ঐদিন(৫ আগস্ট) পুলিশের গুলিতে রাইয়ান আহমদ (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রও আহত হয়। তার মাথায় গুলি লাগে। দীর্ঘ ১২ দিন অজ্ঞান অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাইয়ান। শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহত রাইয়ানের মামা কুটু মিয়া বলেন, ওইদিন চার যুবককে আটক করে থানার ভেতরে নেয় পুলিশ। এরপর তাদের বিষয়ে কি হলো জানি না। এরমধ্যে দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক শাহজাহান আহমদ এখনো নিখোঁজ বলে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে জানতে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় ফোন দিলে জানা যায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ছুটিতে। থানায় দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, নিখোঁজ শাহজাহানের খোঁজে চন্ডিপুল সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সভাপতি মাহমুদ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন। তাদের থানা হাজতসহ সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। তাছাড়া ৫ আগস্ট রাতে সব পুলিশ থানা ছেড়ে চলে যায়। ওইদিন আটকের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া এ কয়দিন থানায় নিখোঁজের কোনো সাধারণ ডায়েরিও হয়নি।