গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আশাবাদী বাইডেন
প্রান্তডেস্ক:গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন চুক্তি সইয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে ইসরাইল-গাজার যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো পক্ষের বাধা দেয়া উচিৎ নয় বলে মনে করেন তিনি। খবর আনাদুলের।
শুক্রবার কাতারের দোহায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর। এ বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘আমরা এখনো দুই দেশের যুদ্ধবিরতির চুক্তি সফল করতে পারিনি। তবে এ চুক্তির অনেক, অনেক কাছাকাছি।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়সহ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতির বৈঠকে ওয়াশিংটন একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগের দেয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই ওই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা নতুন প্রস্তাবের ওপর কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নতুন প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে বেসামরিকদের জীবন বাঁচানো, গাজার জনগণের জন্য ত্রাণ ব্যবস্থা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে পথ তৈরি হচ্ছে।’
তবে মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক বলেন, ইসরাইল আগের আলোচনায় ‘যেসব চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল তা এখন আর মেনে চলছে না।’ আগামী সপ্তাহে কায়রোতে আবারো মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নস, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি, মিশরীয় গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল এবং ইসরায়েলি মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নিয়া।
তবে, হামাস সর্বশেষ আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে তেল আবিব দুই মাস আগে বাইডেনের সমর্থিত একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে করা চুক্তিগুলো মেনে চলে।
গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।নিরলস ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে উপকূলীয় অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।