হত্যাকান্ডের বিচার ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে চারণের ‘দ্রোহকাল’
শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নাজিকুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে ও সদস্য মাসুদ রানার পরিচালনায় চারণের শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম, বাসদ সিলেট জেলার আহবায়ক আবু জাফর, বাসদ জেলা সদস্য সচিব ও বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ জেলা সমন্বয়ক প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী সুমন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আহবায়ক মাসুমা খানম প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সন্দীপ দেব, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি বিশ্বজিৎ শীল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মামুন ব্যাপারি।
দ্রোহকালের আলোচনায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করে দেশে ১৫ বছর একটি ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চাপিয়ে দিয়ে ছিল। জনগণের সকল ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে অবৈধ নির্বাচন করে ক্ষমতায় ঠিকে ছিলো। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার পতনের পর নতুন করে ৭১ সালের, ৯০ সালের পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। এক স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তে আরেক স্বৈরাচারী সরকার যেন আসতে না পারে সেই দিকে ছাত্র জনতাকে সজাগ থাকতে হবে।সকল ধরনের বৈষম্য দূর করে সকল জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষদের জন্য বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান এই সময়ে বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনায় দেশ গড়তে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জরুরি। চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সেই আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় সকল প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মীদের অংশগ্রহণে।