নেটিপর্ন সানেসাংখোমের বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রকে অপমান করার দুটি অভিযোগসহ সাতটি পৃথক অভিযোগ ছিল। আটক হওয়ার পরের দিন তিনি অনশন শুরু করেন। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পানি পান করেন এবং এপ্রিল থেকে খাবার গ্রহণ করেন। তিনি থাইল্যান্ডের বিচারব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেটিপর্ন সানেসাংখোমকে প্রাথমিকভাবে আদালত অবমাননার অভিযোগে আটক করা হয়। রাজতন্ত্রের মানহানির পৃথক মামলায় জামিন প্রত্যাহার করার পর তার আটকের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তাকে রাজতন্ত্রের মানহানির দুটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। দোষী সাব্যস্ত হলে প্রতিটি অভিযোগের জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হত তাকে।
থাইল্যান্ডে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইন রয়েছে। লিগ্যাল এইড গ্রুপ থাই লয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, ২০২০ সাল থেকে রাজতন্ত্রের মানহানি আইনের অধীনে প্রায় ২৬০টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নেটিপর্ন সানেসাংখোমের অনশনে যাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা নয়। ২০২২ সালে তিনি ও একজন সহকর্মী ৬৪ দিনের জন্য খেতে অস্বীকার করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।