ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন মামুনুর রশীদ
প্রান্তডেস্ক:কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন দেশের শিল্পী সমাজ। তারা এরইমধ্যে নানারকম কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। কথা বলছেন। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।গতকাল নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ জানালেন, ‘শিল্পীদের সামনে, আমার সামনে যে অনিশ্চয়তা, এতোগুলো প্রাণ ঝরে গেল। বিশেষ করে শিশু দুটির জন্য আমি রীতিমত রাতে ঘুমাতে পারি না। এটা আমার বাস্তব ব্যক্তিগত অবস্থান। কিন্তু এর বাইরেও যেটা ঘটছে, এটাকে একটা কোটা সংস্কার আন্দোলন বলা যাবে না।এটা মূলত মানুষের অনেক দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের সামনে শিল্পীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় শান্তি সমাবেশ। ছাত্র আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদ ও নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পী সমাজ’-এর ব্যানারে হয় এই সমাবেশ।সেখানেই এসব কথা বলেন মামুনুর রশীদ।তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের বঞ্ছনা হচ্ছে, নানান ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে- এর বিরুদ্ধেই আসলে এই প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদে যে এতো প্রাণ ঝরবে, এটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এখনো ধরপাকর, নানান ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে; আমি মনে করি এসব অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটা রাজনৈতিকভাবে সমাধান হওয়া উচিত।’তরুণদের কথা শোনা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনো সমাধান নেই বলেও জানান তিনি। মামুনুর রশীদ বলেন,‘এই পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। এই ক্ষোভ নিরসন হবে না। মানুষের কথা শুনতে হবে। সংলাপ তৈরী করতে হবে। তরুণরা কী বলতে চাইছে সেটা শুনতে হবে। ব্যাখ্যা করতে হবে। এবং তারমধ্য দিয়েই আমি মনে করি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
সমস্যা সমাধানের পথ তৈরীর আহ্বান জানিয়ে এসময় মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যারা আন্দোলনে আছে তারা কেউ রাজনৈতিক পরিচয়ে নামেনি। আমি গতকাল ফার্মগেটে দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীদের সাথেও গিয়েছি, আমি তো দেখেছি এখানে কেউ পলিটিক্যাল নয়। রাজনৈতিক পরিচয় কারোরই নাই। তাহলে রাজনৈতিক এমন ট্যাগ দেয়ার বিষয়গুলো কেন আসছে? আমার মনে হয়, কারো রাজনৈতিক পরিচয় এই মুহূর্তে খোঁজে বের করার দরকার নাই। সমস্যার সমাধান করার জন্য সবারই চেষ্টা করা উচিত।’