১৯৭৮ সালের ৩ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন সাংবাদিক ও লেখক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামে ১৯০৭ সালের ১ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ওয়ালিউল্লাহ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু পরীক্ষার আগে বার্মা চলে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি। ব্রিটিশবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে ১৯২১-২২ সালে তিনি কারারুদ্ধ হন। প্রথম জীবনে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ‘লালকোর্তা’ ও ‘ওলী গান্ধী’ নামে পরিচিত হন। পরে মুসলিম লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। তিনি যেসব পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেগুলো হলো দ্য রেঙ্গুন, ডেইলি নিউজ, স্টার অব ইন্ডিয়া, দ্য ওরিয়েন্ট প্রেস অব ইন্ডিয়া, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক সংবাদ। যুক্তফ্রন্ট সরকার ও পরবর্তী সরকারের তথ্য বিভাগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে ১৯৫৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা সূত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে রচনা করেন যুগ-বিচিত্রা (১৯৬৭) নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থ। তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থ হলো : সংবাদ ও সাংবাদিক, সেকাল ও একাল, ফাঁসির মঞ্চে, বিচিত্র জীবন, আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইত্যাদি। যুগ-বিচিত্রার জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে দাউদ পুরস্কার লাভ করেন।