রাজনগরে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
প্রান্তডেস্ক:মৌলভীবাজারের রাজনগরে মুজুরী পাওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে বাগানের প্রায় ৭৫০ জন শ্রমিকের মুজুরী বকেয়া থাকায় উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের মাথিউড়া চা বাগানের শ্রমিকরা বাগানের খেলার মাঠে জড়ো হয়ে এ মানববন্ধন করে।
শ্রমিকদের মুজুরী দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা মানববন্ধন শেষ করে কাজে যোগ দেয়।বুধবার সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের মাথিউড়া চা বাগানে স্থায়ী ও অস্থাীয় মিলে প্রায় ৭৫০ জন শ্রমিক রয়েছে। এসব শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মুজুরী নিয়মিত পাচ্ছেন না। ফলে বর্তমান ঊর্ধগিতবর বাজার মূল্যে শ্রমিকরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। নিয়মিত মুজুরী পাওয়ার দাবীতে ওই বাগানের প্রায় ৭৫০জন শ্রমিক বুধবার সকাল থেকে কাজে যোগ নাদিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
মানববন্ধরে শ্রমিকরা জানিয়েছে, নিয়মিত মুজুরী না পাওয়ায় তাদের ঘরে চুলা জালানো কষ্টস্বাধ্য হয়ে পড়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে আছেন তারা। শমিকরা জানিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মুজুরী পরিশোধ করা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাগানের লোন পাস না হওয়ায় অর্থ সংকটে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে তারা শ্রমিকদের মুজুরী দিতে পারছে না।
মাথিউড়া চা বাগানের সুমন নাইডু বলেন, বাগানের শ্রমিকরা মুজুরী পাওয়ার জন্য বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও মুজুরী পাচ্ছে না। পাঁচ সাপ্তাহ ধরে মুজুরী না পাওয়ায় শ্রমিকরা না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। বুধবার সকালে বাগানের খেলার মাঠে আযোজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন টেংরা ইউনিয়নের সদস্য সত্য নারায়ন নাইডু, চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড়, সাধারণ সম্পাদক রামলাল রবিদাস, সাবেক সভাপতি বাবুলাল গৌড়, সাবেক সভাপতি রতন রবিদাস, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আকাশ নাইডু, নবমী রাজভর প্রমুখ।এব্যাপারে জানতে বাগানের ম্যানেজার ওয়াহিদ্দুজামানের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
তিনি আরো জানান, বাগানের লোন জটিলতায় অর্থ সংকটের কারণে শ্রমিকদের মুজুরী দিতে পারছে না।